দুই কোটির বেশি করোনা শনাক্ত নিয়ে ভারত এখন বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ। প্রতিদিন দেশটিতে গড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, দেশটিতে এখন ৫ লাখের বেশি মানুষকে আইসিইউ সাপোর্টে রাখতে হয়েছে। আর অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন আরও ৯ লাখ ২ হাজার ২৯১ জন।
এর বাইরে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ জন।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে মন্ত্রীদের ২৫তম ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সংখ্যার কথা তুলে ধরেন তিনি। এই সংখ্যা মোট রোগীর মধ্যে খুব সামান্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতে সরকারি হিসাবে আইসিইউর সংখ্যাও প্রায় ৫ লাখ। অর্থাৎ দেশটিতে আর কোনো আইসিইউ বেড খালি নেই।
হর্ষ বর্ধন জানান, মোট শনাক্তের ১ দশমিক ৩৪ শতাংশকে আইসিইউ, ০ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভেন্টিলেটর ও ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে রাখতে হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল থেকে ভারতে করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। তখন দিনে দেড় লাখ থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ করা হয়।
হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘আমাদের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে। দেশে এখন দিনে ২৫ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
দেশটিতে এক মাস আগেও এই পরীক্ষার সক্ষমতা ছিল দিনে ১৫ লাখ।
অনেকেই প্রথম ডোজের টিকা নিলেও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে দেরি করছেন। তাদের সঠিক সময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
ওই ভার্চুয়াল সভায় পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব জানান, গত আগস্টে দেশে দৈনিক ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদন হলেও এখন হচ্ছে ৯ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন।
ভারতে শনিবারের দেয়া ২৪ ঘণ্টার হিসাবে শনাক্ত হয় ৪ লাখ ১ হাজার ৭০ জন। আর করোনায় সে সময়ে দেশটিতে মৃত্যু হয় ৪ হাজার ১৮৭ জনের।
দেশটিতে এখন করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭০ জনের।