চলতি মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের করোনোভাইরাস প্রতিরোধী ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসছে দেশে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা টিকা দিয়ে আবার প্রথম ডোজের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানালেন তিনি।
ফ্লোরা বলেন, ‘এই মাসের শেষের দিকে ফাইজার থেকে ১ লাখ ৬২০ হাজার টিকা আসবে। সেই টিকা দিয়েই আমার প্রথম ডোজ শুরু করব। এই টিকা থেকে অর্ধেক টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য রেখে দেয়া হবে। আমাদের টিকা কার্যক্রম এইভাবেই চলবে।’
টিকা নিতে গিয়ে কেউ কেন্দ্র থেকে ঘুরে এসেছেন এমনটা এখনও ঘটেনি জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে টিকা নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন এমন পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়েনি। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে যে টিকা আছে, তাতে আমারা এখনও ১০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব।
‘সুতরাং কেন্দ্রে থেকে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়নি। দ্বিতীয়তো আমাদের দিক থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে যাদের প্রথম ডোজ সিরামের টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ সিরামের টিকা দেয়া যায়। যদিও কোন দিন টিকা পাব এমন তারিখ দিতে পারেনি সিরাম। দ্বিতীয় ডোজ আমরা সিরামের টিকা দিয়েই নিশ্চিত করব। আমাদের হাতে এক মাস সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিতে কাজ করছি। তবে আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
সেব্রিনা জানান, টিকার চাহিদা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত টিকা চলবে।
‘সংকটের কারণে আমরা প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। সেই টিকা (যুক্তরাষ্ট্রের) আসার প্রথম দোজ দেয়া হবে।’
কয়েকটা জেলায় টিকা দান বন্ধ রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে সেব্রিনা বলেন, ‘কোনো জায়গায় টিকা দান বন্ধ নেই। গতকাল শুক্রবার গতকাল হয়তো বন্ধ ছিল।’