চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বিবিআইবিপি-করভির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর মধ্য দিয়ে ডব্লিউএইচও পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে অন্য কোনো দেশের টিকায় অনুমোদন দিল বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সিনোফার্মের টিকাটি এরই মধ্যে চীনের কয়েক কোটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে এ টিকা।
বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে বিবিআইবিপি-করভির ৫ লাখ ডোজ দিচ্ছে চীন, যা পৌঁছানোর কথা রয়েছে বুধবার।
সিনোফার্মের আগে ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছিল ফাইজার, মডার্না, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসনের টিকার।
চীনের টিকার অনুমোদন নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক (ডিজি) টেডরোস আধানম গেব্রিয়েসুস শুক্রবার জানান, করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও মান যথেষ্ট থাকায় তারা চীনের এ টিকার অনুমোদন দিয়েছেন।
ডব্লিউএইচও জানায়, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ওপর এ টিকার দুই ডোজ প্রয়োগ করা যাবে। চীনের টিকাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকার সুষম বণ্টনের উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় আনারও অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর আশা, সিনোফার্মের টিকার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে করোনা প্রতিরোধী ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে আরও বড় সুযোগ তৈরি হবে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের আগেই আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দরিদ্র দেশ চীনের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।