ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। দেশটিতে এক দিনে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১২ হাজার ২৬২ জনের দেহে। এ সময়ে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ৯৮০ জন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ৮৫২ জনের দেহে।
এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের বৃহস্পতিবার সকালের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ভারতে দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হচ্ছে।
এক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে করোনায় দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। করোনা পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর দিকে ধেয়ে আসছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, উত্তর প্রদেশসহ ১২টি রাজ্যে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা এখন এক লাখের বেশি। দুই সপ্তাহ ধরে ৩০টি জেলায় করোনায় শনাক্তের হার ক্রমাগত বাড়ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কেরালার ১০, অন্ধ্র প্রদেশের ৭, কর্ণাটকের ৩ ও তামিলনাড়ুর ১টি জেলা।
গত বছর করোনা আঘাত হানার পর থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা দেয় মহারাষ্ট্রে। বুধবার রাজ্যটিতে ৫৭ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওই সময় ভাইরাসটিতে প্রাণ হারায় রেকর্ড ৯২০ জন।
মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে বুধবার ৩ হাজার ৮৭৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ সময়ে মৃত্যু হয় ৭৭ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার করোনার তৃতীয় ধাক্কা ভারত এড়াতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেশটির বিজ্ঞানবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ড. কে বিজয়রাঘবন।
তিনি বলেন, ‘যে হারে ভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে, তাতে তৃতীয় ধাক্কা অবধারিত। কিন্তু মহামারির তৃতীয় ধাক্কাটি ঠিক কখন আঘাত করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
‘আশা করছি, তৃতীয় ধাক্কার আগেই যথাযথ প্রস্তুতি আমরা নিতে পারব। এ জন্য টিকার আধুনিকায়নের কাজও চলছে।’