করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংকট দেখা যাওয়ায় টিকা পেতে আগ্রহীদের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে এখনও ১৪ লাখ টিকা সংকট রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিতের পর আবার নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে।’
টিকা সংকটের কারণে এর আগে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ প্রদান স্থগিত করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে টিকা সংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে চীন ও রাশিয়া থেকে এই মাসের মধ্যে টিকা আসার কথা রয়েছে। তবে এখন চুক্তি ও তারিখ ঠিক হয়নি। আশা করা যাচ্ছে, এই মাসেই টিকার সংকট নিরসন হবে।
যারা দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমান তাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো কারণে বিলম্ব হয়, যে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা যদি না আসে, তবে আমরা দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলব।’
সরকার গণটিকা শুরু করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে। কার্মসূচি শুরুর সময় হাতে টিকা ছিল ৭০ লাখ ডোজ টিকা। এর মধ্যে বাংলাদেশের কেনা ৫০ লাখ, আর ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। পরে সিরাম পাঠায় আরও ২০ লাখ এবং ভারত উপহার হিসেবে পাঠায় আরও ১৩ লাখ।
করোনার টিকা একজনকে দিতে হয় দুই ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ৫৮ লাখ দেয়ার পর সরকার সেটি বন্ধ করে এখন কেবল দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে। তবে যে টিকা মজুত আছে, তা দিয়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে না। ঘাটতি আছে ১৩ লাখের বেশি।
প্রথম ডোজের টিকা বন্ধ করে দেয়ার কারণ সিরাম আর টিকা দিতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে টিকার জন্য চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। দুটি দেশ থেকে টিকা আসার পাশাপাশি দেশেও উৎপাদন করতে চায় সরকার।
তবে এই টিকা আসতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আর সে টিকা এলেও সিরাম থেকে আরও প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টিকা না এলে যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন তাদের সবাইকে টিকা দেয়া যাবে না।