নিজেদের ক্যাম্পাসে নতুন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল (সুপার স্পেশালাইজড) তৈরিতে আরও দেড় বছর সময় পেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন নতুন হাসপাতালটি ২০১৯ সালের মধ্যে তৈরি হওয়ার কথা ছিল। দুই দফা সময় বেড়ে এখন তা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এতে হাসপাতাল নির্মাণের ব্যয় বাড়ছে ১৯৫ কোটি টাকা।
এ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ব্যয় ও দেড় বছর মেয়াদ বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
একনেকের মঙ্গলবারের সভায় মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন।
একনেক সভা শেষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটির কিছুটা ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করবে বিএসএমএমইউ। এ প্রকল্পে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারিত রয়েছে। ইডিসিএফ ও কোরিয়া ১ হাজার ৪৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় ৩ দশমিক ৮ একর জায়গার ওপর ৪৫ হাজার বর্গমিটারের হাসপাতাল ভবন নির্মাণ, ১২ হাজার ৬৪৩টি মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ২২৫৬টি কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ সংগ্রহ, ৬৩৫ জন চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী দেশে বিদেশ প্রশিক্ষণ নেবেন।
দুটি বেজমেন্টসহ ৯ তলা হাসপাতাল নির্মাণ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। তবে নানা কারণে তা হয়নি। পরে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও অসম্পূর্ণ থাকে কাজ। এরই মধ্যে আরও দুই বছর বেড়েছে মেয়াদ। তবে সময় মতো কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয় বেড়েছে ১৯৫ কোটি টাকা। শুরুতে ব্যয় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা থাকলেও এখন হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের অর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পটির ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের পুরোটাই কোভিডের কারণে কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। যে কোরিয়ান পরামর্শকেরা প্রকল্পে কাজ করতেন তারা কেউ এ দেশে ছিলেন না। সে কারণে কাজে ক্ষতি হয়েছে।
যে দেড় বছর সময় পাওয়া গেছে তাতে কাজ শেষ হবে। ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় যন্ত্রপাতিও কেনা যাচ্ছে না। ৯ তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। তবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিএসএমএমইউ বলছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশেই জটিল রোগের উন্নত সেবা নিশ্চিত করে বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমানো যাবে।