বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্ট ‘মেলেনি’ চট্টগ্রামে

  •    
  • ৪ মে, ২০২১ ১৭:৩৭

‘করোনা আক্রান্ত ১০ ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করি আমরা। এর মধ্যে অন্তত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এসব নমুনা থেকে নোভেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করে দেখা যায় ছয়টি নমুনায় যুক্তরাজ্যের ধরন (B.1.1.7), তিনটি নমুনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন (B.1.351) এবং একটি নমুনায় যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের ধরন পাওয়া গেছে। তবে কোনো নমুনাতেই ভারতে ছড়িয়ে পড়া ধরন (B.1.617) পাওয়া যায়নি।’

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করে যুক্তরাজ্য, সাউথ আফ্রিকান ও আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেলেও নতুন দুশ্চিন্তার কারণ ভারত ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনায় আক্রান্ত ১০ জনের নমুনা নিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য জানান চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি-সিভাসুর একদল গবেষক।

এই ১০টি নমুনা থেকে নোভেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করে দেখা যায় এর ছয়টিতে যুক্তরাজ্যের ধরন ও তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে।

সিভাসুর উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় এবং সিভাসুর পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি) এর আর্থিক সহায়তায় এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, শারমিন চৌধুরী, ইফতেখার আহমদ রানা, ত্রিদীপ দাশ, প্রণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম ও তানভীর আহমদ নিজামী।

ত্রিদীপ দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মার্চের শেষ সপ্তাহ এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের ৫ তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন বয়সী করোনা আক্রান্ত ১০ ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করি আমরা। এর মধ্যে অন্তত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

‘এসব নমুনা থেকে নোভেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করে দেখা যায় ছয়টি নমুনায় যুক্তরাজ্যের ধরন (B.1.1.7), তিনটি নমুনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন (B.1.351) এবং একটি নমুনায় যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের ধরন পাওয়া গেছে। তবে কোনো নমুনাতেই ভারতে ছড়িয়ে পড়া ধরন (B.1.617) পাওয়া যায়নি।’

করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্ট সম্প্রতি দেশটির পরিস্থিতি বেশ খারাপ করে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ লাখের বেশি আক্রান্তের পাশাপাশি সাড়ে ৩ হাজারের মতো মৃত্যু দেখছে ভারত।

এই ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে, সে জন্য ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ত্রিদীপ দাশ বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে যুক্তরাজ্যের ধরনের আধিক্য ছিল। তবে যেহেতু নমুনা সংখ্যা কম, তাই এটা নিশ্চিত করে বলার জন্য আরও অধিক সংখ্যক নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করা প্রয়োজন। গবেষণা থেকে পাওয়া এই তথ্য পাবলিক ডাটাবেইজ GISAID-এ জমা দেয়া হয়েছে৷’

এর আগেও এই বছরের শুরুতে সিভাসুর গবেষকদল আটটি নমুনা থেকে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেন বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর