বেসরকারি উদ্যোগে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না উদ্ভাবিত করোনারোধী টিকা বিক্রি করতে চায় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেড। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে প্রতিষ্ঠানটি।
দুই মাস আগে এক চিঠিতে ৬ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা আনার অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায় রেনাটা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না কোম্পানির টিকা আনার চেষ্টা করছে। ওরা আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। তাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আমরা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে পাঠিয়েছি।
‘তারা যাচাই বাছাই করে দেখবেন কোম্পানির সক্ষমতা রয়েছে কি না। এসব বিষয় দেখার পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত জানাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত এখন পর্যন্ত করোনারোধী দুটি ব্র্যান্ডের টিকার প্রয়োগ চলছে। একটি ফাইজারের, অন্যটি মডার্নার। দুটি টিকার সংরক্ষণ প্রক্রিয়াই বেশি জটিল। এর মধ্যে মডার্নার টিকা রাখতে হয় স্ট্যান্ডার্ড ফ্রিজারের তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আর মডার্নার টিকার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, টিকাটি ১৮ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত বয়সীদের ক্ষেত্রে ৯৫.৬ শতাংশ কার্যকর। তবে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এর কার্যকারিতা ৮৬.৪ শতাংশে নেমে আসে।
বাংলাদেশে মডার্নার টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল বাশার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না কোম্পানির করোনার টিকা সংরক্ষণে অতিরিক্ত মাইনাস তাপমাত্রা লাগে। এটা ঢাকা শহর ছাড়া অন্য কোথাও সংরক্ষণ করতে পারব না। আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে, সেটা দিয়ে আমরা ঢাকা সিটিতে সংরক্ষণ করতে পারব। ঢাকার বাইরে এটা সংরক্ষণের সক্ষমতা এখনও তৈরি হয়নি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রেনাটার পক্ষ থেকে জমা দেয়া আবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার তৈরি ‘এমআরএনএ-১২৭৩’ কোভিড ভ্যাকসিনের আমদানি ও সরবরাহের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (আন্তর্জাতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক) মো. কামরুল হাসান কেনেডির স্বাক্ষরে ওই আবেদন করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, মডার্নার টিকা আমদানি, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রাসহ মাইনাস ২০ থেকে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মডার্নাই নেবে এবং তাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে।
এ বিষয়ে রেনাটার মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মডার্না থেকেও আমরা সাড়া পেয়েছি। সরকার অনুমতি দিলে এ মাসের মধ্যেই কমপক্ষে ৬ লাখ ডোজ টিকা দেশে আনতে পারব।’