করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর দেশে চাহিদার তুলনায় আইসিইউ কম বলে অভিযোগ করা হচ্ছিল। তবে এখন আইসিইউ শয্যার অর্ধেকেরই বেশি ফাঁকা দেখা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এই হিসাব পাঠানো হয় গণমাধ্যমে।
এতে জানানো হয়, করোনা রোগীদের জন্য সারা দেশের ৮ বিভাগে ৮ হাজার ৮৭৩টি শয্যা এবং ৫৬৫টি আইসিইউ শয্যা খালি হয়েছে।
সারা দেশে করোনা রোগীদের জন্য শয্যার সংখ্যা ১২ হাজার ৩৪৭টি আর আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ৯২টি। বহুসংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লেখিত সংখ্যক আইসিইউ শয্যা খালি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা ৫ হাজার ৬২৬টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩ হাজার ৭৯৯টি, ৭৭৩টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা ৪২০টি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭০৫টি শয্যার মধ্যে খালি ২৮০টি, তবে এখানকার ২০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে কোনোটি খালি নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ২৩০টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ১৩০টি, ২০টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ৫টি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩০০টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ৭২টি, তবে সেখানে থাকা ১০টি আইসিইউ শয্যার কোনোটি খালি নেই।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩৬০টি শয্যার মধ্যে খালি ২৫২টি, ১৯টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ২টি।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের মোট ১৬৯টি শয্যার মধ্যে খালি ১১৬টি। ২৬টি আইসিইউর মধ্যে খালি ১০টি।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৭৪টি শয্যার মধ্যে খালি ১০০টি। এখানে ১৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৮টি।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ২৮৮টি শয্যার মধ্যে খালি ২০৩টি। ১০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ২টি।
সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৮১টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ৭৪টি। ৬টি আইসিইউর মধ্যে খালি ৩টি।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মোট ৪৮৫টি শয্যার মধ্যে খালি ৩৯৩টি। ১৫টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৮টি।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের ১০টি শয্যার মধ্যে খালি ৮টি। এন আই সি ভি ডি হাসপাতালের ১৩৭টি শয্যার মধ্যে খালি ১২৩টি।
টিবি হাসপাতালের মোট ২০০টি শয্যার মধ্যে খালি ১৮৩টি। ৫টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৪টি।
ডিএনসিসি হাসপাতালের মোট ২০০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি ১৩১টি। ১০০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ২৫টি।
এন আই ডি সি এইচ মহাখালীর ১১৪টি, এন আই কে ডি ইউ শ্যামলীর মোট ১৫টি শয্যার মধ্যে খালি ১৪টি।