বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শনাক্তের হার কমলেও আত্মতুষ্টি নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ১৪:৫৫

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমিয়ে নিয়ে এসেছি। তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

টানা লকডাউনের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার কিছুটা কমে এলেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রোবাবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে করোনার বিস্তার কিছুটা কমেছে।

২৪ ঘণ্টার হিসাবে শনিবার দেশে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪৫২ জনের শরীরে, যা গত ১৪ মার্চের পর সর্বনিম্ন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সপ্তাহ ব্যবধানে মৃত্যু কমেছে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আর শনাক্ত কমেছে ৩৩ দশমিক ০২ শতাংশ।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমিয়ে নিয়ে এসেছি। তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

মানুষের জীবনরক্ষায় স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ হত্যার জন্য বিশ্বে যতটা বিনিয়োগ হয়েছে, মানুষ রক্ষায় তেমন বিনিয়োগ করা হয়নি। এটার প্রমাণ হয়েছে। করোনাভাইরাস এসে আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছে। করোনাভাইরাস আমাদের বার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে বলে দাবি জাহিদ মালেকের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সামনে আমরা আরও এগিয়ে যাব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। …সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত উন্নয়নে অনেক অবদান রাখছে।

‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আমাদের জনবলের অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা একটি তালিকা দিয়েছি। হয়তো কিছুদিনের কিছু জনবল নিয়োগ হবে।’

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মধ্যে চিকিৎসা খাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবার অনেক সুযোগসুবিধা ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। এখন প্রতিটা ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

দেশে করোনারোধী গণটিকা প্রসঙ্গেও কথা বলেন সচিব। বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি চলছে। বিশ্বের অনেক দেশ এখনও টিকাদান কর্মসূটি শুরু করতে পারেনি।

‘এটা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তবে একটি কথা বলব, যারা ভালো কাজ করবে, তাদের সমালোচনা থাকবে। তাই বলে আমার ভালো কাজ বন্ধ করে দেব না। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে সুন্দর একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসচিব আলী নূর বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে গৌরবোজ্জ্বল ৫০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই আলোচনায় অংশ না নিলে সেটা হয়তো জানতাম না। স্বাধীনতাযুদ্ধে চিকিৎসকদের অনেক অবদান রয়েছে। এটা মানুষকে বোঝাতে হবে। অন্য খাতের মানুষও স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তাদেরও অবদান রয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে চিকিৎসকের ১০ শতাংশ আত্মাহুতি দিয়েছেন, সেটা অন্য কোনো খাতের মানুষ দেয়নি।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলামসহ সারা দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর