বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে বেড নেই, গাড়িতেই মৃত্যু রোগীর

  •    
  • ১ মে, ২০২১ ১৬:৪৮

শচিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি রোগীর ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। তার বাড়িওয়ালা সাহায্যের জন্য এদিক-ওদিক দৌঁড়াদৌঁড়ি করছিলেন। কেউই তার কথা শুনছিলেন না। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ওই নারীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তার অবস্থা দেখে বাড়িওয়ালা বিষয়টি হাসপাতালের রিসিপশনে জানান। হাসপাতালের কর্মকর্তা তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।’

সরকারি হাসপাতালের পার্কিং লটে গাড়িতে প্রায় তিন ঘণ্টা পড়ে ছিলেন করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ এক নারী প্রকৌশলী। শেষ সময়ে তার পাশে ছিলেন বাড়িওয়ালা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি বারবার অনুরোধ জানিয়েও মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য ব্যবস্থা করতে পারেননি কোনো শয্যা। অবশেষে পার্কিংয়েই মৃত্যু হয় নারীর।

ভারতের উত্তর প্রদেশের নয়ডা শহরে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৫ বছর বয়সী জাগৃতি গুপ্তা নয়ডায় একা থাকেন। তার স্বামী ও দুই সন্তান থাকেন মধ্য প্রদেশে। বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বাড়িওয়ালা তাকে জিআইএমএস হাসপাতালে নিয়ে যান।

শচিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি রোগীর ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। তার বাড়িওয়ালা সাহায্যের জন্য এদিক-ওদিক দৌঁড়াদৌঁড়ি করছিলেন। কেউই তার কথা শুনছিলেন না।

‘দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ওই নারীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তার অবস্থা দেখে বাড়িওয়ালা বিষয়টি হাসপাতালের রিসিপশনে জানান। হাসপাতালের কর্মকর্তা তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।’

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ওষুধ ও শয্যা। বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের স্বজনেরা অক্সিজেন, শয্যার জন্য হাহাকার করছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ছে। থেমে নেই মৃত্যুও। অক্সিজেন সিলিন্ডার, ওষুধ বা শয্যার মতো দেশটিতে মৃতদেহ সৎকারে শ্মশানেরও আকাল দেখা দিয়েছে।

শুধু প্রকৌশলী জাগৃতি গুপ্তা নন, করোনায় বেদনাদায়ক মৃত্যুবরণ করেছেন তার মতো হাজার হাজার মানুষ।

এমন বাস্তবতায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত সপ্তাহে দাবি করেন, তার রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট নেই। আর হাসপাতালের শয্যা সংকট খুব দ্রুতই সামলানো গেছে।

তবে আদিত্যনাথের দাবির কোনোটিই বাস্তবে দেখা দেয়নি। ভারতের যেসব রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেশি, তার অন্যতম উত্তর প্রদেশ। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে রাজ্যের রাস্তাঘাটে করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।

হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের তীব্র সংকট থাকায় করোনায় আক্রান্তদের বাড়িতে ফেরত আনতে বাধ্য হচ্ছে স্বজনেরা।

হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি রয়েছে, তা জানতে অনলাইন বেড ট্র্যাকার চালু করেছে নয়ডা কর্তৃপক্ষ। তাতে অক্সিজেন বেড, আইসিইউ বেডসহ ২ হাজার ৫৬৮টি বেডের কথা বলা রয়েছে, যার কোনোটিই খালি নেই।

এনডিটিভির প্রতিবেদক শয্যা চেয়ে নয়ডা হেল্পলাইনে ফোন করলে তাকে বলা হয়, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা শহরের কোনো হাসপাতালে শয্যা খালি নেই।

কবে নাগাদ খালি হতে পারে জানতে চাইলে উত্তর আসে, ‘এ নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। শয্যার অনেক সংকট।’

উত্তর প্রদেশের করোনায় বিপর্যস্ত শহরগুলোর মধ্যে নয়ডা অন্যতম। শুক্রবার শহরটিতে ৮ হাজার ২০০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ভাইরাসে মৃত্যু হয় ২১২ জনের।

এ বিভাগের আরো খবর