করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনের ‘সুফল’ আসতে শুরু করেছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে ১, হাজার ৪৫২ জনের শরীরে।
এর আগে ১৪ মার্চ এর চেয়ে কম শনাক্ত হয়। সেদিন ১ হাজার ১৫৯ শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৮ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫১০ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সপ্তাহ ব্যবধানে মৃত্যু কমেছে ১৬.৫৯ শতাংশ, আর শনাক্ত কমেছে ৩৩.০২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৫০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯.৬১ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩.৮৭ শতাংশ।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। সুস্থতার হার ৯০.০২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন, নারী ২৩ জন। মৃতদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। বাকিদের বয়স বিশোর্ধ্ব তিন, ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব সাত, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ ও ষাটোর্ধ্ব ৩৭ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৯ জন। পাঁচজন করে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী ও খুলনায়। এ ছাড়া, রংপুরে দুই, বরিশালে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।