বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এএমআর ঠেকাতে বৈশ্বিক পরিকল্পনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩৮

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন কোভিড ১৯ এর ধ্বংসাত্মক মহামারি প্রত্যক্ষ করছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ভবিষ্যতে এর চেয়েও মারণঘাতি মহামারির কারণ হতে পারে।’

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়ে এটি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমন্বিত পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এএমআর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি উচ্চ পর্যায়ের ডায়ালগে এছাড়াও চারটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে এএমআর বিষয়ক এ বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাবগুলো হলো, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে কম ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বহুপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ; উত্তম উৎপাদন, পরীক্ষাগার অনুশীলন এবং নজরদারি কাঠামো; প্রয়োজন অনুসারে প্রযুক্তি স্থানান্তর ও মালিকানা ভাগাভাগির মাধ্যমে সাশ্রয়ী ও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত; অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে টেকসই অর্থায়ন; রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং সদস্য দেশগুলোর অংশীদারত্বের মাধ্যমে এএমআর মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. উম্মে নাজমিন ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলতে মূলত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে বোঝানো হয়। মাত্রাতিরিক্ত বা নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের ফলে, শরীরে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। ফলে পরে শরীরে ওই অ্যান্টিবায়োটিক আর কার্যকর হয় না।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সকে (এএমআর) বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভয়াবহ হুমকি হিসেবে এরই মধ্যে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক শীর্ষ ১০ জনস্বাস্থ্যঝুঁকির একটি হলো এএমআর।

উচ্চ পর্যায়ের ডায়ালগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন কোভিড ১৯ এর ধ্বংসাত্মক মহামারি প্রত্যক্ষ করছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ভবিষ্যতে এর চেয়েও মারণঘাতি মহামারির কারণ হতে পারে।

‘এই বিপদকে সামলাতে না পারলে অগণিত মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রাণহানি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রাক্কলন বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণে ১ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে এবং আর্থিক ক্ষতি হবে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের, যা খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে এবং এসডিজি অর্জন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স দমনে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছর মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান এবং ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছি। এ ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ দমনে জাতীয় কারিগরি কমিটি এবং বাংলাদেশ এআরসি রেসপন্স অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়েছে।

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শ্রেণিবিন্যাস নিশ্চিত করতে নিয়মিত মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্যে পরীক্ষাগারকেন্দ্রিক এএমআর নজরদারি চালানো হচ্ছে। একইভাবে ২০১৯ সাল থেকে আমরা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জিএলএএসএস প্ল্যাটফর্মের কাছে এএমআর নজরদারির তথ্য সরবরাহ করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে যে কোনো মহামারি রুখতে এএমআরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ২০১৫ সালের গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান অন এএমআর, ২০১৬ সালে ইউএন পলিটিক্যাল ডিক্লেয়ারেশন অন এএমআর প্রয়োগ করা প্রয়োজন এবং এএমআর ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানও ঠিক করা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর