জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া চীনের সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভির উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশে আসছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান টিকা অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যেই উপহারের ডোজগুলো হাতে পাওয়া যাবে।
টিকার অনুমোদন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি আছে। তারা টিকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি এর কার্যকরী ক্ষমতা অনেক ভালো।’
মাহবুবুর বলেন, ‘সিনোফার্মের টিকাটি চীনসহ বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত। এই টিকার সব ডাটা আমরা পেয়েছি; সরকারিভাবে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এগুলো আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের দিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি।’
চীনের টিকার বিতরণ নিয়ে ঔষধ প্রশাসনের ডিজি বলেন, ‘টিকা আসলে জাতীয় কমিটির পর্যবেক্ষণ করে বিতরণ শুরু হবে। এরপর জিটুজি বেসিসে (সরকার থেকে সরকার ভিত্তিতে) সরকার কেবল কিনবে। দেশে টিকা উৎপাদনে সক্ষম ইনসেপটা, পপুলার এবং হেলথ কেয়ারে চীনের টিকাও উৎপাদন হতে পারে; সরকারি পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে।’
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের অধীন বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস উদ্ভাবিত বিবিআইবিপি-করভি নামের দুই ডোজের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া যাবে কি না, আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস জানিয়েছে, তাদের টিকা করোনা প্রতিরোধে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকর বলে অন্তর্বর্তী তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দেখা গেছে।
চীন, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের ফলাফলের ভিত্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, এই টিকা ৮৬ শতাংশ কার্যকর।