করোনাভাইরাস প্রতিরোধী রাশিয়ার টিকায় অনুমোদন দেয়ার পর এবার চীনের সিনোফার্মা উদ্ভাবিত সিনোভ্যাক টিকা জরুরি ব্যবহারে অনুমোদনের সুপারিশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বুধবার সন্ধ্যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির মিটিং হয়। তারা সবকিছু দেখে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। তবে এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়নি।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী রাশিয়ার টিকা স্পুৎনিক-ভির মতো চীনের টিকা সিনোভ্যাকের উৎপাদনও বাংলাদেশে হবে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বুধবারের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
বাংলাদেশের স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে চীন ও রাশিয়া এসব টিকা তৈরি করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে করোনা টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে ৪২ লাখ টিকা।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে। ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকা রপ্তানিতে বিলম্ব হতে পারে।
মজুত ফুরিয়ে আসার আগেই টিকার বিকল্প উৎস খুঁজছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে সরকার।