বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: নয়াদিল্লির পার্কে অস্থায়ী চিতা

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:৩৯

নয়াদিল্লির সরাই কেল খান শ্মশানে কমপক্ষে ২৭টি নতুন চিতা তৈরি করা হয়েছে। শ্মশানটির কাছে একটি পার্কে মৃতদের সৎকারের জন্য বেশ কয়েকটা অস্থায়ী চিতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভারত। সপ্তাহখানেক ধরে দেশটিতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

করোনায় মৃতের সংখ্যা এত বেশি যে তাদের সৎকারে পর্যাপ্ত জায়গাও পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কয়েকটি মরদেহ একসঙ্গে সারিবদ্ধভাবে দাহ করার ছবি এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

চলমান পরিস্থিতিতে মরদেহ দাহের জন্য অস্থায়ী চিতার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছে রাজধানী নয়াদিল্লির প্রশাসন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার এক দিনেই রাজধানী শহরে করোনায় আক্রান্ত ৩৮০ রোগীর মৃত্যু হয়। নয়াদিল্লির বিভিন্ন শ্মশানে করোনায় মৃতদের দেহ একের পর এক আসছে। এমন বাস্তবতায় দাহকাজে হিমশিম খাচ্ছেন শ্মশানের কর্মীরা।

দাহের জন্য শব নিয়ে স্বজনদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাই শ্মশানের পরিসর বাড়িয়ে কাছের পার্কসহ অন্যান্য খালি জায়গায় অস্থায়ী চিতার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

রাজধানীর সরাই কেল খান শ্মশানে কমপক্ষে ২৭টি নতুন চিতা তৈরি করা হয়েছে। শ্মশানটির কাছে একটি পার্কে মৃতদের সৎকারের জন্য বেশ কয়েকটা অস্থায়ী চিতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া দাহকাজ সম্পন্ন করতে নয়াদিল্লিতে যমুনা নদীর তীরে বাড়তি জায়গার খোঁজ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

২২টির মতো শব দাহ করার জায়গা রয়েছে নয়াদিল্লির এমন এক শ্মশানের কর্মী বলেন, ভোর থেকে টানা মধ্যরাত পর্যন্ত দাহকাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় তাদের।

অনেকে বলছেন, দাহ করার জন্য পার্কের গাছও কাটতে হয়েছে নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষকে। শ্মশানে একের পর এক মরদেহ আসতে থাকায় শ্মশানকর্মীরা সব মরদেহকে দাহকাজে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না।

তারা মৃত ব্যক্তির স্বজনদের চিতায় কাঠ স্তূপ করা থেকে অন্যান্য ধর্মীয় আচারাদি পালনে সহযোগিতা করতে বলছেন।

নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে গাজিপুর শ্মশানের পার্শ্ববর্তী গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ২০টির মতো চিতা যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর অন্যান্য শ্মশানের চিত্রও করুণ।

নাগরিক এক সংগঠনের প্রধান সুনীল কুমার আলেদিয়া বলেন, কিছু শ্মশানের আশপাশে বাড়তি জায়গাও নেই। শ্মশান কর্তৃপক্ষ চাইলেও অস্থায়ী চিতার ব্যবস্থা করতে পারছে না।

এ বিভাগের আরো খবর