সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আগামী মাসেই করোনা প্রতিরোধী টিকার চালান আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। টিকা ইস্যুতে বিএনপিকে বিভ্রান্তি বন্ধেরও আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী মাসেই সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অনেক টিকা আসবে এবং খুব সহসা অন্যান্য দেশ থেকে যে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেগুলোও আসবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’
টিকার মজুত ফুরিয়ে আসতে থাকায় করোনা প্রতিরোধী গণটিকা কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে প্রথম ডোজের টিকা প্রয়োগ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সিরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনলেও দুই চালানের পর তা স্থগিত হয়ে পড়েছে। বাকি টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ফলে রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আনার তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার।
চলমান টিকা সংকট বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছে। টিকা নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে বলে জানালেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ভারতের টিকা কাজ করবে না- এই প্রচারণা আপনারা চালিয়েছিলেন। আবার সেই টিকা আসতে যখন একটু দেরি হচ্ছিল, তখন অন্য কথা বলা শুরু করেছিলেন। সুতরাং এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।
‘বিএনপিসহ যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদেরকে বলব, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাজনীতি না করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।’
বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি ও তার মিত্ররা এবং কিছু গোষ্ঠী সরকারের কোনো কাজেই ভালো দেখে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তারা করোনা মহামারির শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা গোপনে নয় প্রকাশ্যেই চালিয়েছে।’
করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ করে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করে গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় মূলধারার গণমাধ্যমকে অভিনন্দন জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার ও অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ করেন।