করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখছে ভারত। মানুষের মধ্যে একে ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ ভাইরাসকে ঘিরে নানা ধরনের মিথ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে নিত্যনতুন তথ্য। এসব তথ্য কতটুকু সঠিক?
প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা থেকে সতর্ক হওয়ার কথা তাই বলা হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে।
রোদে করোনা মরে যায়
গত বছর অনেকে বলেছিলেন, গরম আবহাওয়ায় করোনার সংক্রমণ মারাত্মক না। খুব গরমে এ ভাইরাস মরে যায়। গরম জলে গোসল করলে এ রোগ আটকানো যায়। রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। প্রতিটি ধারণাই ভুল। উচ্চ তাপমাত্রায় এ ভাইরাস নিস্তেজ হয়ে যায়- এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
অল্পবয়সীদের মধ্যে করোনার প্রভাব খুব গুরুতর না
এ ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। শুধু বয়স্করা এ রোগে সংক্রমিত হন এবং তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমন নয়। যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে এ রোগের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে করোনার নতুন নতুন ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে কম বয়সীরাও। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে তাদের প্রাণহানিও ঘটছে।
নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক নেয়া থাকলে করোনায় আক্রান্ত হবেন না
কোভিড-১৯ এর অন্যতম উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। নিউমোনিয়ারও তাই। কিন্তু এর অর্থ এ নয়, নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক করোনাও আটকাবে। কোনো ব্যক্তি দুদিন আগে নিউমোনিয়া থেকে সেরে উঠেছেন। তার করোনা হবে না-এমনটা ভাবা ভুল।
শ্বাস রোধ করে থাকতে পারছেন মানেই করোনা হয়নি
ঘরে নিজে নিজে করোনার পরীক্ষা করা যায়, এ ধারণা ভুল। অনেকে মনে করেন, যদি ১০ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ করে রাখা যায়, এর অর্থ করোনা হয়নি। এ ধারণা সঠিক নয়। এ রোগের উপসর্গ অনেক। তার প্রতিটি করোনায় আক্রান্তের মধ্যে নাও থাকতে পারে।
মশার কামড়ে করোনা ছড়াচ্ছে
মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো ভয়ঙ্কর কিছু রোগ হতে পারে। কিন্তু করোনা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।