ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ শয্যা আরও ৩২টি বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালটি উদ্বোধনের ৭ দিনের মধ্যে চালু হলো ১৩২টি শয্যা। এর মধ্যে বর্তমানে ৯৭টিতে রোগী আছে।
আইসিইউ শয্যা চালানোর জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক ও নার্সও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে হাসপাতালটির পরিচালক নাসির উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন অনেক চিকিৎসক যুক্ত হয়েছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) আরও চিকিৎসক যুক্ত হবেন। চিকিৎসকের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আইসিইউ বেডও বাড়াব। আগামীকালও (মঙ্গলবার) ৩২ বেডের এরকম একটা এসডিইউ চালু করব। ... কিছু দিনের মধ্যে আইসিইউ সংখ্যা হবে ২০০টি।’
গত ১৮ এপ্রিল এক হাজার শয্যার করোনা হাসপাতালটি চালু করা হয়। সেদিন আইসিইউ শয্যা ছিল ১০০টি।
গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে এর ব্যবহার শুরু হয়।
কারওয়ানবাজার থেকে পাইকারি বাজার সরিয়ে আনতে তৈরি করা ভবনটিতে নির্মাণ করা হয়েছে চিকিৎসালয়টি। করোনা শেষেও এই হাসপাতাল চালু থাকবে।
তবে এখনও এখানে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক জানান, যাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে, তাদের স্যাম্পল নিয়ে তাদের লোকজন দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আনছেন তারা।
তবে করানো পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে ৭২৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর ধীরে ধীরে সব রোগেরই পরীক্ষা শুরু করা হবে।
সেনাবাহিনী থেকে প্যাথলজিস্ট হাসপাতালটিতে যোগ দিয়েছেন। দুই একদিনের মধ্যে এখানে জিন এক্সপার্টরাও এসে যাবেন।
তিনি জানান, রোববার হাসপাতালটিতে ১৪৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ৯৭ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দুই জন। গত সাত দিনে আটজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
হাসপাতাল পরিচালনায় ৪০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স ও ৬০০ স্বাস্থ্যকর্মী চাওয়া হয়েছিল বলেও উদ্বোধনের সময় জানিয়েছিলেন নাসির উদ্দিন।