করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লকডাউনের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ছয়দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলাম যা আগামীকাল (সোমবার) ভোর ৫টায় শেষ হচ্ছে। করোনাসৃষ্ট সংকট কাটাতে লকডাউন সর্বশেষ অস্ত্র।
‘করোনার সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। অনেকে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এমন বাস্তবতায় আরও এক সপ্তাহ আগামী সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়ানো হলো।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের বিধিনিষেধ একই রকম থাকবে। শুধু গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও সরকারি অফিস এ সময় খোলা থাকবে। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা ঘরে থেকে কাজ করবেন। শপিং মল, স্পা, জিম ও অডিটোরিয়াম বন্ধ থাকবে। মুদি ও দুধজাতীয় পণ্যের দোকান লকডাউন চলাকালে খোলা থাকবে।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান লকডাউনের শুরুর দিকে করোনায় শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়। তবে গত দুই দিনে শনাক্তের হার পড়তির দিকে। আজ রোববার এ হার ৩০ শতাংশের নিচে।
‘তবে আমি বলছি না, করোনার সংক্রমণ শেষ হয়ে গেছে। আমাদের আরও কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা লাগবে। শনাক্তের হার বাড়তে পারে আবার কমতেও পারে।’
গত কয়েকদিনে রাজধানী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহে তীব্র ঘাটতির কথা উল্লেখ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘এ মুহূর্তে রাজধানীতে ৭০০ টন অক্সিজেন দরকার। এখন পর্যন্ত কেন্দ্র নয়াদিল্লির জন্য ৪৯০ টন অক্সিজেন বরাদ্দ করেছে।
‘গতকাল ৩৩০-৩৩৫ টন অক্সিজেন দিল্লিতে এসে পৌঁছায়। যেখানে প্রয়োজন ৭০০ টন অক্সিজেন, সেখানে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৩০-৩৩৫ টন অক্সিজেন আমরা পেয়েছি।’
ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর করোনা আঘাত হানার পর রাজধানী শহরে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৪ হাজার ৭৮২ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৮৯৮ জনের। শনিবার নয়াদিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩৫৭ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে, যা দৈনিক মৃত্যুর দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত রেকর্ড।