করোনা মহামারিতে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা নিয়ে হাহাকারের মধ্যে আশার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের হিসাবে এখনও ফাঁকা রয়েছে ৩২২ বেশি আইসিইউ বেড; শূন্য আছে অনেক সাধারণ শয্যাও।
রোবাবার দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিন এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কোভিড চিকিৎসার জন্য আইসিইউ বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে, সারা দেশ যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে আমাদের আইসিইউ বেড আমাদের ১ হাজার ৬৮ টি। বর্তমানে করোনা চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৪৬ জন। ৩২২টি আইসিইউ বেড আমাদের এখনও খালি রয়েছে। ৭৪৬ জন যে রোগী ভর্তি রয়েছে এরা সবাই গরুতর। এ বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
টিকার বিষয়েও কথা বলেন রোবেদ আমিন। জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ২১ লাখ ডোজ টিকা পৌঁছাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেক্সিমকোকে বলেছে আগামী মাসেই ২০ লাখ ডোজ টিকা যেন আসে এমন ব্যবস্থা করতে। মে মাসে কোভ্যাক্সের ফাইজারের ১ লাখ ডোজ টিকা আসবে।
‘সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমাদের বেশকিছু ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া বাকি আছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসকে বলেছে অ্যাটলিস্ট ২০ লাখ ভ্যাকসিন যেন তারা তাদের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে। কারণ এ চুক্তি বাংলাদেশ, বেক্সিমকো ও সিরাম ইনস্টিটিউটের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি।’
রোবেদ জানান, সম্প্রতি ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে চীন সরকার বাংলাদেশকে ৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেবে। এ ছাড়া, বাংলাদেশে গ্যাভি থেকে আরও ১০ কোটি ডোজ টিকা আনার আলোচনা শুরু করেছে।