পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৫ হাজার ৯০৮ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়, যা দৈনিক শনাক্তের দিক দিয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় রেকর্ড। দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের (এনসিওসি) বরাত দিয়ে রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে ডন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। তিন মাস পর জুনে দেশটিতে এক দিনে ১৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ১০ মাস পর শনিবার পাকিস্তানে এক দিনে এত বেশি মানুষের মৃত্যু হলো।
পাকিস্তানজুড়ে শনিবার ৫৬০টি ভেন্টিলেটর করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় গুজরানওয়ালা, মুলতান ও লাহোরে।
দেশটিতে এ মুহূর্তে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন করোনা রোগী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫ হাজার ৫৬১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে এক বৈঠকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ৬০ থেকে ৬৪ বছরের নাগরিকদের করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিওসি। চীন উদ্ভাবিত করোনার টিকা সিনোফার্মের আরও পাঁচ লাখ ডোজ এরই মধ্যে দেশটিতে পৌঁছেছে।
বৈঠকটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগমন্ত্রী আসাদ উমর।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, রোববার থেকে ৬০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ব্যক্তিদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে। ৬৫ ও এর বেশি বয়সীদের টিকাদান এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া আন্তপ্রদেশ পরিবহন চলাচল দুই দিন (শনি ও রোববার) বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৭ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিওসি।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে এমন ৬ হাজার ৯০১টি হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা তদারকি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে এনসিওসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কেট, শপিং মল, কম গুরুত্বপূর্ণ সেবা, আন্তশহর গণপরিবহন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রস্তাব এসেছে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’