উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি করোনাের পাঁচ লাখ টিকা পাঠাতে চিঠি দিয়েছে চীন।
২০ এপ্রিল পাঠানো চিঠিটি এরই মধ্যে গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টিকার মান যাচাই ও মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন দিলে চীন যেকোনো সময় এই টিকা পাঠাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।তিনি বলেন, ‘চীন উপহারের টিকা পাঠাতে যে চিঠি দিয়েছে, আমরা তা পেয়েছি। এটা আমরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পাঠিয়েছি। তারা সবকিছু দেখে এই টিকা অনুমোদন দেবে। এরপর সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত সব চীনা নাগরিককে টিকা দিতে সিনোফার্মকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সিনোফার্ম আমাদের টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়াও তারা উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা পাঠাবে।
‘চীনের টিকা উদ্ভাবন ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক তাদের টিকার পরীক্ষার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষায় অর্থায়ন-জটিলতায় সেই উদ্যোগ এগোয়নি।’
সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর করোনাভাইরাসের চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এমন সময়ই অন্য দেশ থেকে টিকা কেনার অগ্রগতির খবর এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিলেও এখান পর্যন্ত সিনোফার্ম জাতিসংঘের এই সংস্থাটি থেকে তাদের টিকার অনুমোদন পায়নি। তবে চীনের দুইটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চীনের টিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও অনুমোদন দেয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. খুরশীদ বলেন, সরকার এখন চীনা টিকা সম্পর্কিত বিধিবিধান নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (অনুমোদন) আগে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিয়েছি। সিনোফার্মের টিকার ক্ষেত্রেও আমরা সেটাই বিবেচনা করছি।’সরকারের একটি চিঠি থেকে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে চীন সরকারকে টিকার জন্য অনুরোধ জানাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীন সরকার টিকা নিতে চিঠি দেয়।