বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে এবার করোনার নাইজেরিয়া ভ্যারিয়েন্ট

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৫৪

ঢাকার উত্তরা, আজিমপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশাপাশি সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রামক, এটি রোগীর জন্য কতটা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার গবেষণায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যদিও সরকারের গবেষণা সংস্থা আইইডিসিআর এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট বিপুল পরিমাণ মানুষকে আক্রান্ত করার মধ্যে এই তথ্যটি এল।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা, জিএসএআইডি-এর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে করোনার নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট বি.ওয়ান.ফাইভটুফাইভ এর অস্তিত্ব মিলেছে।

গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের দুটি বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জিনম সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।

ঢাকার উত্তরা, আজিমপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশাপাশি সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

তবে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রামক, এটি রোগীর জন্য কতটা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইনফ্লুয়েঞ্জ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে ২০০৮ সালে এই বৈশ্বিক উদ্যোগটি গড়ে উঠে। এটি জার্মান সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পরিচালিতে একটি প্রতিষ্ঠান।

করোনা মহামারিতেতে এই ভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্সিং করে সেটি সারা বিশ্বকে তথ্য দিচ্ছে।

২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি এই উদ্যোগটি নতুন করোনা ভাইরাস সার্স কোভ টু এর জিনম সিকোয়েন্স করে। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণ, টিকা আবিস্কারসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়।

এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ৬৭ হাজার ৫২৪ এর বেশি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিএসএআইডি)-তে প্রকাশ করেছেন।

সরকার কী বলছে?

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর জানিয়েছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক ধরনের গবেষণায় অনেক কিছুই মিল পাওয়া যাবে। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে সম্প্রতি আমাদের দেশে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একটি গবেষণা হচ্ছে, এটা শেষ হতে কিছু দিন সময় লাগবে।’

বাংলাদেশে কী কী ভ্যারিয়েন্ট

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। প্রথমে ধরা পড়ে ইতালি ভ্যারিয়েন্ট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টটিই মানুষকে আক্রান্ত করেছে।

তবে মার্চ থেকে করোনা ভাইরাস আগের চেয়ে বেশি হারে ছড়িয়ে পড়া, রোগীরা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ার পর গবেষণায় উঠে আসে, এবারের করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য বেশি দায়ী যুক্তরাজ্য আর সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট।

এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট কেবল বেশি সংক্রামক না, মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে, সুস্থ হতে দেরি লাগছে, রোগীরা মারা যাচ্ছে তুলনামূলক কম সময়ে, দ্রুত অক্সিজেন সাপোর্ট এমনকি আইসিইউ সুবিধা লাগছে।

চোখ রাঙাচ্ছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট

এর মধ্যে আবার ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠার পর সেখানকার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

সেখানে টানা তিন দিন সেখানে তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা এর আগে কখনও বিশ্বে দেখা যায়নি। শনিবার শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছুঁই ছুঁই হয়ে গেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। শনিবার ২৪ ঘণ্টায় আড়াই হাজারের বেশি মৃত্যুর কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।

সে দেশে করোনার দুটি ভ্যারিয়েন্ট বেশি ছড়াচ্ছে, যার একটি আবার দুইবার রূপ পরিবর্তন করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল, জল, আকাশপথে যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি। ব্যবসা, চিকিৎসা বা ভ্রমণের জন্য প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি লোক যায় দেশটিতে। এ কারণে করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শঙ্কা বেশি এখানে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কমিটি।

এ বিভাগের আরো খবর