বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে দরকার সতর্কতা

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৪৭

পরিবেশের সুবিধা পায় বলেই গণশৌচারগুলোর ভেতরে জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি। শৌচাগারের ভেতরে বোতাম টিপে পানি ঢালা বা ফ্ল্যাশ করার সময় ভাসমান জলকণার পরিমাণ ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সেই জলকণাকে কেন্দ্র করে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাসের মতো জীবাণু।

এমনিতেই জীবাণুর আতুঁড়ঘর গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট। বাতাস চলাচল কম, মানুষের যাতায়াত বেশি এবং ঘন ঘন পানি ঢালার কারণে জলকণার পরিমাণ বেড়ে যায় সেখানে।

আর এমন অবস্থা থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক বেশি বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

ভারতীয় গবেষকের বরাতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এমন তথ্য।

আমেরিকার ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সিদ্ধার্থ বর্মা এখন কাজ করছেন আমেরিকার বেশ কিছু গণশৌচাগার ব্যবহার নিয়ে।

তিনি দেখিয়েছেন, পরিবেশের সুবিধা পায় বলেই গণশৌচারগুলোর ভেতরে জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি। শৌচাগারের ভেতরে বোতাম টিপে পানি ঢালা বা ফ্ল্যাশ করার সময় ভাসমান জলকণার পরিমাণ ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সেই জলকণাকে কেন্দ্র করে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাসের মতো জীবাণু।

সিদ্ধার্থ জানান, তিন ঘণ্টা ধরে প্রায় ১০০ বার বোতাম টিপে পানি ঢালার সময়ে শৌচাগারগুলোর বাতাস তারা পরীক্ষা করেছেন।

সেখান থেকে দেখা গেছে, ফ্ল্যাশ করার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, জীবাণুরা প্রায় ৫ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠে গিয়ে সেখানে ২০ সেকেন্ড ধরে ভেসে থাকতে পেরেছে।

এই তথ্য থেকে অনেকের দাবি, ভারতের মতো দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পিছনে এই ধরনের গণশৌচাগার বড় ভূমিকা রেখেছে।

‘ফিজিক্স অব ফ্লুইড’ নামক জার্নালে প্রকাশ হওয়া গবেষণাপত্রে সিদ্ধার্থ দাবি করেন, সাধারণ শৌচাগারের মতো যে সব শৌচাগারে শুধুমাত্র পুরুষদের মূত্রত্যাগের জায়গা থাকে, সেগুলোর বাতাসেও তিন মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাপের জলকণা ভেসে বেড়ায়।

এগুলো আকারে এতটাই ছোট যে সহজেই এরা বহুক্ষণ ভেসে থাকতে পারে। এর ফলে ইবোলা থেকে করোনাভাইরাস—সব ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশ বেড়ে যায়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলোর মতো যেসব গণশৌচাগারে ঢাকনা ঢেকে ফ্ল্যাশ করা হয় সেগুলোতে জলকণার পরিমাণ কম ছড়ায় বলে জীবাণু ছড়ানোর পরিমাণ তুলনামূলক কম। তবে সেটাও যে খুব নিরাপদ নয় সেটি উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণাপত্রে।

এমন অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে গণশৌচাগারগুলোতে বাতাস চলাচল বাড়িয়ে সংক্রমণের হার কমানো যায় বলে গবেষণায় তুলে ধরেছেন সিদ্ধার্থ।

এ বিভাগের আরো খবর