দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৬৯৭ জনের দেহে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯৫২ জনের। আর মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০টি ল্যাবে ২০ হাজার ৫৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.১১ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩.৯৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪৭৭ জন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৩ জনের মধ্যে ৫৮ পুরুষ ও ২৫ নারী। তাদের মধ্যে ২ জন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বয়স বিবেচনায় মৃত ৮৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচ, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৭, ষাটোর্ধ্ব ৫৬ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ৫২, চট্টগ্রামে ১৩ রাজশাহীতে তিন, খুলনায় পাঁচ, সিলেটে তিন, রংপুরে তিন, বরিশালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে ৩ এপ্রিল ১৮ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার। এরপর ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দেয়। অবশ্য সরকার একে লকডাউন না বলে কঠোর বিধিনিষেধ বলে।
পরে তা বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ দেয়। পরে তার ২১ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়। যা চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এই বিধিনিষেধের মধ্যেই রোববার থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে দোকানপাট-শপিং মল। আর লকডাউন শেষ হলে শর্ত মেনে গণপরিবহন চালুর কথাও জানিয়েছে সরকার।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।