কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে দরিদ্র দেশগুলো বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেডরোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
দরিদ্র দেশের জন্য টিকা নিশ্চিতে ডব্লিউএইচওর উদ্যোগে শুরু হওয়া কোভ্যাক্স সুবিধার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব সংস্থাটির প্রধান গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘বিশ্বে এখন পর্যন্ত টিকার ৯০ কোটি ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে এর ৮১ শতাংশ ডোজ দেয়া হয়েছে ধনী ও উন্নত দেশগুলোকে। দরিদ্র দেশগুলো পেয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ ডোজ।’
বিশ্বব্যাপী টিকা বণ্টনে এমন বৈষম্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ধনী দেশে জমা পড়ে থাকা টিকার অতিরিক্ত ডোজ নিম্ন আয়ের দেশের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের শরীরে প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
২৫ গুণ গতিতে ধনী দেশে টিকাদান
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশকে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়েছে। তবে টিকার বিতরণ ব্যবস্থাপনায় দেখা গেছে বড় ধরনের বৈষম্য। বেশির ভাগ টিকাই বাগিয়ে নিয়েছে ধনী দেশগুলো।
গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১১ শতাংশ হয়েও বৈশ্বিকভাবে দেয়া করোনা টিকার ৪০ শতাংশ নিয়েছে ২৭টি ধনী দেশের নাগরিকরা।
অন্যদিকে বিশ্বের ১১ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ পেয়েছে টিকার মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ ডোজ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের ভ্যাকসিন ট্র্যাকারে প্রকাশিত তথ্য নিয়ে এমন প্রতিবেদন করেছেন টম রান্ডেল।
কোভ্যাক্সের টিকা
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে ডোজের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
সে হিসাবে বাংলাদেশ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১ কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ডোজ পাওয়ার কথা রয়েছে।
ভারত পাবে ৭ কোটি ৯১ লাখ, পাকিস্তান ১ কোটি ৭২ লাখ, নাইজেরিয়া ১ কোটি ৬০ লাখ, ইন্দোনেশিয়া ১ কোটি ৩৭ লাখ, বাংলাদেশ ১ কোটি ২৮ লাখ এবং ব্রাজিল ১ কোটি ৬ লাখ ডোজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতাধীন দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস এবং গ্যাভির (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস) সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স গত ৩ ফেব্রুয়ারি টিকা বণ্টনের তালিকা প্রকাশ করে।
বিশ্বে করোনা মহামারিতে ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।