মেক্সিকো ও পোল্যান্ডে জব্দ করা ফাইজারের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার সবগুলোই নকল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এসব টিকার একেকটি ডোজ এক হাজার ডলার পর্যন্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর একটি ক্লিনিকে নকল টিকা নিয়েছেন প্রায় ৮০ জন।
আপাতত এ টিকায় স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বলে মনে করা হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এটি কোনোরকম সুরক্ষাও দেবে না।
মেক্সিকান প্রশাসন জানিয়েছে, টিকার শিশিগুলোতে ভুয়া লট নাম্বার ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ ছিল।
পোল্যান্ডে টিকার শিশিতে যে উপাদান পাওয়া গেছে, তা প্রসাধনী পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত এক ধরনের তরল। এই উপাদান ত্বকের বলিরেখা ঠেকানোর ক্রিমে ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
এবিসি নিউজকে ফাইজারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘নকল টিকার বিষয়ে আমরা অবগত। ই-কমার্স ও পরিচয় ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব কাজ করছে। মহামারির বিপর্যয়ের মধ্যে কোভিড নাইনটিনের টিকা ও ওষুধ নিয়ে এ ধরনের প্রতারণা, জালিয়াতি ও অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ দিন দিন বাড়ছে, হয়তো আরও বাড়বে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ নুয়েভো লিয়নের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জনসচেতনতামূলক প্রচারে গোপনে বিক্রি করা কোভিড টিকা কিনতে জনগণকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল।
গত মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মেক্সিকোতে ফাইজারের টিকার নকল ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল।
জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় উদ্ভাবিত টিকার কোনো উপাদানই নকল টিকায় নেই বলে জানিয়েছে ফাইজার।
রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনা প্রতিরোধী টিকা স্পুটনিকের ছয় হাজার ডোজের একটি চালান বর্তমানে পরীক্ষা করছে মেক্সিকো। গত মাসে হন্ডুরাসগামী একটি ব্যক্তিগত বিমান থেকে চালানটি জব্দ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ব্রাজিলের পর করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে। মহামারিতে এ পর্যন্ত দুই ১৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে।