বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা নিলে মৃত্যুঝুঁকি কম: গবেষণা

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৫৩

গবেষণা দলের সদস্য অধ্যাপক প্রাণেশ দত্ত বলেন,‘২০০ জনের ওপর গবেষণা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। অতএব বলা যায়, টিকা নিলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।’

করোনার টিকা নেয়ার পর ফের আক্রান্ত হলে,মৃত্যু ঝুঁকি কম বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) একদল গবেষক। প্রথম দফায় টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়া ২০০ জনের ওপর গবেষণা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারা।

গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নিতে হয়েছিল। তবে ওই ব্যক্তি করোনার পাশাপাশি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তাই তার মৃত্যুর প্রধান কারণ করোনা নয় বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।

গবেষণা দলের সদস্য অধ্যাপক প্রাণেশ দত্ত বলেন, ‘২০০ জনের ওপর গবেষণা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। অতএব বলা যায়, টিকা নিলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সিভাসু ল্যাবে ২০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়, তারা ৭ ফেব্রুয়ারির পর করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। তাদের উপর মূলত গবেষণাটি চালানো হয়।

সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শারমিন চৌধুরী, শিক্ষক ইফতেখার আহমেদ, প্রাণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম, ত্রিদীপ দাশ ও তানভীর আহমদ নিজামী গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, টিকা নেয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ দশমিক পাঁচ শতাংশ ব্যক্তির হাসপাতালে যেতে হয়নি। বাকিরা হাসপাতালে গেলেও মারাত্মক কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন নি। ৮৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ রোগী শ্বাসকষ্টমুক্ত ছিলেন। টিকা নেয়া ৯১ শতাংশ রোগীর কোনো রকম কাশি কিংবা হাঁচি ছিল না। ৫৬ দশমিক ছয় শতাংশ রোগীর স্বাদ ও ঘ্রাণে কোনো পরিবর্তন হয়নি। টিকা গ্রহণকারী রোগীদের গড়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল ৯৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

গবেষণা দলের সদস্য প্রফেসর প্রাণেশ দত্ত বলেন, ‘টিকাগ্রহীতা করোনায় আক্রান্ত হলেও তাদের শারীরিক তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। অর্থাৎ করোনায় ভুগলেও তারা শঙ্কামুক্ত।’

সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, ‘২০০ জনের মধ্যে ১৯০ জন ইতোমধ্যে করোনামুক্ত হয়ে গেছেন। একজন মারা গেছেন। বাকি ৯ জনের কোনো উপসর্গ নেই। তাই বলা যায়, টিকা নিলে ৯৯ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমে যায়।’

সিভাসুর গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৬৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৬ জন উচ্চ রক্তচাপ, ৩২ জন ডায়াবেটিস ও ৫ জনের অ্যালার্জি ছিল।

গবেষণা দলের সদস্য অধ্যাপক শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রথম ধাপের গবেষণা শেষ করেছি। সেটির ফলাফল এসেছে। গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর রোগীদের মধ্যে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাও পর্যালোচনা করা হবে। প্রথম ধাপের গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তা পর্যালোচনা করা। এতে দেখা যায় টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও ৮২ শতাংশ রোগীদর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গবেষণাটি ছোট আকারে হলেও এটি ইতিবাচক। এই গবেষণার কারণে মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হবে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ইউছুপ মিয়া বলেন,‘টিকা নেয়ার পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মৃত্যুঝুঁকি কম। এটি একটি ইতিবাচক গবেষণা। তবে এই গবেষণাটি আরও বড় পরিসরে করতে হবে। বড় করে গবেষণায় এই তথ্যটি প্রমাণ হলে সবাই টিকা নেবেন।

এ বিভাগের আরো খবর