করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর পর গত বছরের মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি আসে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীর সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া হবে দুই মাসের প্রণোদনা। প্রতিশ্রুতির এক বছর সেই অর্থ পেতে যাচ্ছেন ১৪টি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী।
১ মে তাদের হাতে অর্থ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ জন্য বিশেষ প্রণোদনা বরাদ্দ দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
বুধবার দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এসব হাসপাতালে ১ হাজার ৪৭৪ জন চিকিৎসক, ৪০৬ জন নার্স ও ৯৮১ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এই প্রণোদনা পাবেন। টাকার অঙ্কে প্রণোদনার পরিমাণ ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯০২ টাকা, যা আগামী পহেলা মে দেয়া হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে গত বছরের ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে যারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করছেন, সরকার তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হবে।’
এরপর ১ জুলাই করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে প্রায় এক বছরেও এই অর্থ হস্তান্তর সম্ভব হয়নি।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে প্রণোদনার আটকে থাকা অর্থ ছাড়ে উদ্যোগী হলো সরকার।
যে ১৪ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী পাবে প্রণোদনা
০১. শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৭২ জন চিকিৎসক, ৩৩৯ নার্স ও ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
০২. পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের ২০ জন চিকিৎসক, ৩৫ জন নার্স ও ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
০৩. মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ৫৪ চিকিৎসক ও ২৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
০৪. মিরপুরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৯৪ চিকিৎসক ও ৩৪ স্বাস্থ্যকর্মী।
০৫. সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ৬০ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
০৬. দিনাজপুরের আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের ১০৮ চিকিৎসক ও ৭৪ স্বাস্থ্যকর্মী।
০৭. রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৯৭ জন চিকিৎসক ও ২০৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
০৮. কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৬ জন চিকিৎসক।
০৯. বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের ১৬৫ চিকিৎসক ও ৩১০ স্বাস্থ্যকর্মী।
১০. রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৮০ জন চিকিৎসক ও ১৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মী
১১. সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০৯ চিকিৎসক ও ১৩৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১২. বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১৩. শহিদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের ৬৬ জন চিকিৎসক, ১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
১৪. সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের ২৩ চিকিৎসক, ৩২ জন নার্স ও ৭ জন।