বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার করোনার হারবাল টিকা

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:১৩

কানাডাভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেডিকাগো সেই টিকা তৈরির দাবি করেছে। টিকাটির একটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র রয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার রিসার্চ ট্রায়াঙ্গল এলাকায়ও।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে তিনটি কোম্পানির টিকা। ক্লিনিক ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে আরও একটি টিকা। অনুমোদন হলে সেটি ভাইরাস প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে দাবি করছে উদ্ভাবন সংশ্লিষ্টরা।

টিকাটির বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি শুধু রাসায়নিকের পরিবর্তে তৈরি করা হয়েছে গাছগাছড়া থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআরএএলের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডাভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেডিকাগো সেই টিকা তৈরির দাবি করেছে। টিকাটির একটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র রয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার রিসার্চ ট্রায়াঙ্গল এলাকায়ও।

‘ওয়েক রিসার্চ’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক ডা. ম্যাথু হং নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই ‘হারবাল’ টিকা তৈরির।

হং বলেন, বাজারে যেসব টিকা আছে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় রোগী ও আগ্রহীদের এক ধরনের ‘সুনামি’ দেখা গেছে।

তিনি বলেন, বাজারে থাকা ওই তিন টিকা গত ১২ মাসে পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য এক ধরনের উত্তেজনা ছিল। এখন ওয়েক রিসার্চ মেডিকাগোর টিকা পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত।

মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন হং। এখন তার সেই প্রযুক্তি মানুষের শরীরে প্রবেশ করাবেন তিনি।

হং তার শিক্ষার মধ্যে একটা বিড়ম্বনাও দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘অনুভব করতে পারছেন যে, আপনি একটা ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।’

টিকাটি তৈরিতে ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স নিকোটিয়ানা বেনথামিয়ানা নামে অস্ট্রেলিয়ার এক ধরনের গাঁজায় প্রবেশ করায় মেডিকাগো। এরপর বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিকার জন্য এক ধরনের স্পাইক প্রোটিন বের করা হয়। এ প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরকে উদ্দীপ্ত করে।

পরে সে প্রোটিনের সঙ্গে গ্ল্যাসকোস্মিথক্লাইনের এক ধরনের রাসায়নিক বুস্টার যুক্ত করা হয়, যাতে ফল হয় আশা জাগানিয়া।

এটিই সেই বুস্টার যা করোনাভাইরাস মহামারিকে শেষ করতে পারে বলে মনে করচেন হং।

তার মতে, এ টিকা নিলে দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।

আগামী ছয় মাসের মতো সময় হং ও তার সহকর্মীরা মেডিকাগোর পরীক্ষামূলক টিকাগ্রহীতাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

মানুষকে এই টিকা নেয়ায় আগ্রহী করে তুলতে হং খুব সাদামাটা অথচ কার্যকর একটি বক্তব্যও বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি ভেজিটারিয়ান হলে এই টিকা আপনার জন্য।’

হং ও মেডিকাগোর মূল উদ্বেগ হলো, জাতীয়ভাবে ৩০ হাজার মানুষকে তাদের তৈরি টিকার ট্রায়ালে অংশ নিতে রাজি করানো।

তারা মনে করছে, বাজারে অন্য টিকা সহজলভ্য হওয়ায় তাদেরটা নেয়ার ঝুঁকি হয়তো অনেকে নিতে চাইবে না।

ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আরও বেশি টিকা তৈরি ও সরবরাহ করতে হবে বলে মনে করেন হং।

সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে হং বলেন, ‘এটিকে খেলার একেবারে শুরু বলা যায়। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’

যারা এরই মধ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন কিংবা যাদের বিভিন্ন গাছগাছড়ায় অ্যালার্জি আছে তারা অংশ নিতে পারবেন না মেডিকাগোর টিকার ট্রায়ালে

স্থানীয়ভাবে আপাতত ৪০০ মানুষকে টিকা নেয়ার জন্য মনোনীত করবে ওয়েক রিসার্চ। তারা বেছে নিচ্ছে ৬৫ বছরের বেশি কিংবা যারা একেবারে স্থিতাবস্থায় আছেন এমন লোকজনকে।

শিশুদেরও টিকাটির ট্রায়াল দেয়া হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর