ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয় ক্লিনিকে বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলেন এই করোনা মহামারির মধ্যে।’
দেশে দেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। বাংলাদেশেও তাই। গত পাঁচ দিনের মধ্যে চার দিনই করোনায় ১০০-এর বেশি মৃত্যু দেখেছে দেশ। শনাক্তসংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে।
করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়ছে ভারতেও। করোনা প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনকারী দেশ হওয়ার পরও নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। হঠাৎ টিকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এসব সংশয় উড়িয়ে দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে অনেক সংশয় ছড়ানো হয়েছে। কিছু কিছু পত্রপত্রিকায়, কিছু প্রচারমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে জনমনে অনেক সংশয় তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই, ইতোমধ্যে ১৭ লাখ মানুষ করোনার সেকেন্ড ডোজ নিয়েছেন।’
গুজব আর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এখনও নানা ধরনের গুজব রটনার অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এগুলোর বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানাই।’
করোনা মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থানে আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। আমাদের দেশে বা এ অঞ্চলে দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তিন লাখ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। ভারতের লোকসংখ্যা আমাদের চেয়ে আট গুণ। সেই তুলনায় আমাদের দেশে ভারত বা অন্যান্য দেশের চেয়ে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম।’
পরিসংখ্যানের কারণে স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই বলেও জানালেন মন্ত্রী। বলেন, ‘এ জন্য আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি বিষয়টি সে রকম নয়। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’