পশ্চিমবঙ্গের সব স্কুল মঙ্গলবার থেকে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এ ছাড়া আজ রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে কারফিউ ঘোষণা করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজস্থানে আগামী ২ মে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজ্যগুলো নিজেরাই লকডাউন, নৈশ কারফিউ বা অন্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮১০। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলে দিয়েছেন, এবার আর কেন্দ্রীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হবে না।
দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে সরকারি অফিস, জরুরি পরিষেবা অর্থাৎ খাদ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু থাকবে। বেসরকারি অফিসের কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ জন নিমন্ত্রিত নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে তার জন্য আলাদা পাস নিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলোতে আপাতত গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীতে অবস্থা পর্যালোচনার পর কবে স্কুল চালু হবে, তা জানানো হবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। স্কুলগুলোতে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলছিল। তবে ফের করোনার ঊর্ধ্বগতির জেরে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
এখন থেকে ফের অনলাইনে সব শ্রেণির ক্লাস চলবে। মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদেরও স্কুলে যেতে হবে না।
করোনা মহামারি ও বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে জানানো হয়, এ দুই পরীক্ষা হবে জুন মাসে।
করোনার সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক হবে কি না, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো না হলেও করুণ পরিস্থিতি রাজস্থানে। দৈনিক সংক্রমণ প্রতিদিনই ১০ হাজার অতিক্রম করছে।
রাজ্যটির রাজধানী জয়পুরে দুই হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। উপায়ান্তর না দেখে লকডাউন জারি হয়েছে মরুরাজ্যে।
রাজস্থানে আগামী ১৫ দিন চলবে ‘জন অনুশাসন পক্ষ’। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে ওই ১৫ দিন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ। বন্ধ থাকবে দোকান-বাজার। সবজি, ফল, দুধসহ অন্যান্য আনাজপাতির দোকান সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
রান্নার গ্যাসের দোকান ও পেট্রল পাম্প রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা। গণপরিবহন চলবে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে। সাংবাদিকদের লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।