রাজধানীর মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে দেশের বৃহত্তম করোনা হাসপাতাল চালু হচ্ছে রোববার।
বেলা সাড়ে ১১টায় উদ্বোধনের পর থেকেই হাসপাতালটিতে শুরু হবে রোগী ভর্তি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।’
তিনি জানান, শুরুতে হাসপাতালটিতে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) বেড থাকবে ২১২টি।
১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ভবনটি দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে এর ব্যবহার শুরু হয়।
হাসপাতালটির আইসিইউ ও বেডের সংখ্যা নিয়ে কথা হয় নাসির উদ্দিনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘এটাকে দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে পরিপূর্ণ ১০০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও প্রায় সমমানের এইচডিইউ (হাইডিপেনডেনসি ইউনিট) বেড থাকছে ১১২টি। এ ছাড়া সাধারণ শয্যা থাকছে প্রায় এক হাজার।’
শুরুতেই ২১২টি আইসিইউ, ২৫০টি সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাকিগুলোর কাজ চলতে থাকবে। আশা করছি, চলতি মাসের শেষ দিকে পুরো হাসপাতালটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় হাসপাতালটি সেনাবাহিনীর পরিচালনায় থাকবে জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতালটিতে যন্ত্রপাতি, জনবলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। অবকাঠামোগত প্রস্তুতির কাজ বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
‘হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে সেনাবাহিনী। হাসপাতাল হিসেবে এখন শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। পরে জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে।’
হাসপাতাল পরিচালনায় ৪০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স ও ৬০০ স্বাস্থ্যকর্মী চাওয়া হয়েছিল বলে জানান নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘১৫০ চিকিৎসক, ২০০ নার্স ও ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেবা দানকারী সবাই আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্সের সদস্য। পরবর্তী সময়ে সাধারণ চিকিৎসকদেরও নিয়োগ দেয়া হবে।’