বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২১ ২১:২৫

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে গোল্ডেন কালারের একটি প্রাইভেট কারে করে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। খালেদা জিয়াকে গাড়ির পেছনের সিটে বাঁ পাশে মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে বের হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।

গাড়িতে খালেদা জিয়াকে পেছনের সিটে বাঁ পাশে মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়। সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে ছিলেন বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী।

চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডামকে সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিটি স্ক্যান করিয়ে আবার বাসভবনে ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে আসার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে যে কী করা হবে।’

রাত আটটার দিকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিউজবাংলাকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছিলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, ম্যাডামকে আজকেই সিটি স্ক্যানের জন্য এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ারে নেয়া হতে পারে বলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আগেই নিরাপত্তা জোরদার করে ভাটারা থানা-পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার উজজামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’

এভারকেয়ার হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ডা. লতিফ বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের পরেই সিদ্ধান্ত হবে তাকে হাসপাতালে রাখা হবে, নাকি বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।’

গত রোববার খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার বাসার অন্তত ৯ জন।

করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর