বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, ম্যাডামকে আজকেই সিটি স্ক্যানের জন্য এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এখন নাকি এক ঘণ্টা পর তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে আজই নিয়ে যাওয়া হবে। সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, ম্যাডামকে আজকেই সিটি স্ক্যানের জন্য এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এখন নাকি এক ঘণ্টা পর তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে আজই নিয়ে যাওয়া হবে। সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ারে নেয়া হতে পারে বলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এরই মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভাটারা থানা-পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার উজজামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছি। যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনা হতে পারে।’

এভারকেয়ার হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনও তাকে (খালেদা জিয়া) রিসিভ করিনি। আমরা শুনেছি, তিনি আমাদের হাসপাতালে আসবেন।’

হাসপাতালটির ডিউটি ম্যানেজার ডা. লতিফ বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের পরেই সিদ্ধান্ত হবে তাকে হাসপাতালে রাখা হবে, নাকি বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।’

রাত পৌনে ৯টার সময় খালেদা জিয়ার বাসা ফিরোজার সামনে ছিল পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি। প্রস্তুত করা ছিল একটি সাদা রঙের গাড়ি।

এর আগে বিকেলে তিন চিকিৎসকের একটি প্রতিনিধিদল গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

প্রতিনিধি দলের প্রধান অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী জানান, দ্রুতই খালেদা জিয়ার একটি সিটি স্ক্যান করা হবে। সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই নেয়া হবে বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন। কোভিডের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। ম্যাডামের এখন দ্বিতীয় সপ্তাহ চলে। গত তিন দিনে উনার যে রিপোর্ট করা হয়েছে, সেগুলো ভালো আছে। এখন উনার দ্রুত একটা সিটি স্ক্যান করতে হবে। এই সপ্তাহের মধ্যেই তা করা হবে।’

কোথায় সিটি স্ক্যান করা হবে জানতে চাইলে এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান কোথায় করব, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। সকল ব্যবস্থাও করা আছে। যখন করাব তখন আপনারা জানতে পারবেন।’

খালেদা জিয়ার বাসার সামনে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি। ছবি: নিউজবাংলা

খালেদা জিয়াকে কি বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে না কি হাসপাতালে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোভিডের সময় আসলে আগে থেকে বলা যাবে না কখন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। খুব দ্রুত সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে হসপিটাল না বাসায় কোথায় চিকিৎসা করাতে হবে।’

খালেদা জিয়ার অন্যান্য চিকিৎসা যথারীতি চলছে বলেও জানান সিদ্দিকী।

গত রোববার খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার বাসার অন্তত ৯ জন।

করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর