বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে বিরল জোড়া লাগা যমজের জন্ম

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৫১

কেন্দ্রপাড়া জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দেবাশিষ সাহু বলেন, শিশু দুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জন্মগতভাবে ব্যতিক্রম তারা। শিশু দুটির বুক-পেটও সংযুক্ত। মায়ের জরায়ুর ফিটাসের বৃদ্ধি ঠিকমতো না হলেই কেবল এমনটা ঘটে।

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে এক কৃষক পরিবারে দুই মাথা, তৃতীয় হাত, বুক ও পেট জোড়া অবস্থায় বিরল যমজ মেয়েশিশুর জন্ম হয়েছে।

এই যমজ শিশুর জন্ম দেন রাজ্যের কেন্দ্রপাড়া জেলার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী অম্বিকা পরিদা। সন্তান ভূমিষ্ঠের আগে তিনি জানতেন না, তার গর্ভে জোড়া লাগা যমজ শিশু বড় হচ্ছে। বেসরকারি এক নার্সিং হোমে সিজারিয়ান অপারেশনের পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।

দি ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভূমিষ্ঠ হওয়া যমজ মেয়েশিশু দুটির পেটের অংশে জোড়া লাগা। এ ছাড়া তাদের যৌনাঙ্গও এক। তাদের মাথা থেকে তৃতীয় একটি হাত বের হয়েছে।

কেন্দ্রপাড়া জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দেবাশিষ সাহু বলেন, শিশু দুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জন্মগতভাবে ব্যতিক্রম তারা। শিশু দুটির বুক-পেটও সংযুক্ত। মায়ের জরায়ুর ফিটাসের বৃদ্ধি ঠিকমতো না হলেই কেবল এমনটা ঘটে।

তিনি বলেন, বিরল এ ঘটনা ১০ লাখের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

নার্সিং হোম থেকে আরও চিকিৎসার জন্য যমজ শিশু দুটিকে ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক্সে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক প্রভাত কুমার পরিদা বলেন, কৃষক উমাকান্ত পরিদা ও তার স্ত্রী অম্বিকা মেয়েদের সার্জারির জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, যমজ শিশু দুটির বাবা-মা অনেক দরিদ্র। তাদের পক্ষে অস্ত্রোপচারের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। আবার চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, শিশু দুটির বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম।

প্রভাত বলেন, এক ছেলেসন্তানের মা অম্বিকা গর্ভধারণের প্রথম দিকে স্ক্যান করেন। কিন্তু তার যমজ শিশু দুটি জোড়া লাগা- এ বিষয়ে সে সময় চিকিৎসকেরা কিছুই বলেননি।

২০১৭ সালে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে জোড়া লাগা যমজ শিশু জগা ও কালিয়াকে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করা হয়। ওই চিকিৎসার খরচ সে সময় ওড়িশা রাজ্য সরকার বহন করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর