করোনায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রক্তে কোনো ঝুঁকি আছে কি না, জানার জন্য বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে রাতে মেডিক্যাল বোর্ড জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
বুধবার রাত নয়টায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের করোনার উপসর্গ নেই। তার রক্তের বায়োকেমিক্যাল টেস্টের রেজাল্ট পেয়েছি। সেখানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য রাতে বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় কী হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। তবে যা মনে হচ্ছে, সে বিবেচনায় আপাতত বাসাতে রেখেই চিকিৎসা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসার মূল তত্ত্বাবধানে আছেন তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি আমাদের গাইড করছেন। আমরাও খুব সতর্কভাবে হ্যান্ডেল করছি সবকিছু। তিনি এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। আপনারা দোয়া করবেন তার জন্য।’
গত রোববার খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত তার বাসার অন্তত ৯ জন। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর।
করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।