বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাদের টিকার কার্যকারিতা কম: চীনের কর্মকর্তা

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২১ ১১:২৮

সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গাও ফু বলেন, ডোজের সংখ্যা, সময়ের ব্যাপ্তি পরিবর্তনসহ অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকার কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন টিকা একত্র করেও টিকদান কর্মসূচি চালানো যেতে পারে।

চীন উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার কার্যকারিতা কম ও সুরক্ষা দেয়ার মাত্রা বেশি নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গাও ফু।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সময় শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

কার্যকারিতা বাড়াতে চীন টিকা সংমিশ্রণের চিন্তাভাবনা করছে বলেও জানান ফু।

তিনি বলেন, ডোজের সংখ্যা, সময়ের ব্যাপ্তি পরিবর্তনসহ অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকার কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন টিকা একত্র করেও টিকদান কর্মসূচি চালানো যেতে পারে।

পরে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে ভিন্ন মন্তব্য করেন ফু। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব টিকার সুরক্ষা মাত্রা কখনো কম, কখনো বেশি। টিকার কার্যকারিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের ভেবে দেখা জরুরি।’

চীনা টিকার সুরক্ষার মাত্রা কম-সংক্রান্ত আগে দেয়া নিজের বক্তব্য খারিজ করে ফু বলেন, তার কথা সম্পূর্ণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ফুর প্রথম ও পরবর্তী মন্তব্য চীনের বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমে আসেনি।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবোতে চীনের টিকা নিয়ে ফুর প্রথম মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়। তার চুপ থাকা উচিত বলে কয়েকজন সেখানে মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামান্য তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ হওয়ায় চীন উদ্ভাবিত করোনার বিভিন্ন টিকার কার্যকারিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

চীন এখন পর্যন্ত চারটি টিকা উদ্ভাবন করেছে, যা দেশটিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনও পায়। চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে পরিচালিত কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এসব টিকার কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের মতো ছিল।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সিনোভ্যাকের কথা। ব্রাজিলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এ টিকার কার্যকারিতা মাত্র ৫০.৪ শতাংশ দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পেতে যেকোনো দেশের টিকা কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কার্যকর হতে হয়। সে হিসেবে চীনের টিকা ওই সীমার একটু উপরে।

অবশ্য তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ায় শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যবর্তী ফলে সিনোভ্যাকের টিকা যথাক্রমে ৬৫ শতাংশ থেকে ৯১ শতাংশ কার্যকর হিসেবে দেখা যায়।

অন্যদিকে ফাইজার/বায়োএনটেক, মডার্না বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন টিকা ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি কার্যকর।

চীনে এক কোটিরও বেশি মানুষ এরই মধ্যে তাদের উদ্ভাবিত টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছে।

চীনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকা কার্যকর। চীনের টিকা নেয়া বিদেশিরাই কেবল দেশটিতে প্রবেশে ভিসা পাবেন।

এ বিভাগের আরো খবর