বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্যে টিকার সংকট

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:৩৭

মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরি পেডনেকার শুক্রবার বলেন, ‘এমন অনেক টিকাকেন্দ্র রয়েছে যেখানে কোনো টিকাই নেই। ওইসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুনেছি ৭৬ হাজার থেকে এক লাখের মতো ডোজ আজ মুম্বাইয়ে আসবে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ঘাটতি দেখা দেয়ায় ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই শহরে ৭১টি কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা বান্দ্রায় বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের (বিকেসি) টিকাকেন্দ্র অন্যতম। টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কেন্দ্রের বাইরে অনেককে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

শুক্রবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিকেসির ডিন রাজেশ দেরে বলেন, ‘সাধারণত একদিন আগেই পর্যাপ্ত টিকা পেয়ে থাকি আমরা। গতকালও টিকার কোনো সংকট ছিল না। গতরাতে আজকের টিকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আসেনি। আমাদের সংগ্রহে এখন কেবল ১৬০টি ডোজ রয়েছে।’

নাগরিক সংগঠন বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপাল করপোরেশনের (বিএমসি) তথ্য অনুযায়ী, গোটা মুম্বাইয়ে ১২০টির মতো টিকাকেন্দ্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭১টি কেন্দ্রে টিকা নেই।

বাকি ৪৯টি কেন্দ্রে টিকা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার ও বিএমসি। ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে ওইসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে টিকা দেয়া হয়।

মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরি পেডনেকার শুক্রবার বলেন, ‘এমন অনেক টিকাকেন্দ্র রয়েছে যেখানে কোনো টিকাই নেই। ওইসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুনেছি ৭৬ হাজার থেকে এক লাখের মতো ডোজ আজ মুম্বাইয়ে আসবে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’

মহারাষ্ট্র রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ গতকাল অভিযোগ করে বলেন, জনসংখ্যার তুলনায় মহারাষ্ট্রে টিকা সরবরাহ অপ্রতুল। অন্যদিকে গুজরাটের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে।

তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ৪০ লাখ ও প্রতি মাসে ১ কোটি ৬০ লাখ টিকার প্রয়োজন। গুজরাটের তুলনায় মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যা দ্বিগুণ। গুজরাট এক কোটি ডোজ পেয়েছে। আমরাও একই পরিমাণ টিকা পেয়েছি।’

মহারাষ্ট্রের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক নীতির সমালোচনার পর রাজ্যটিতে টিকার বরাদ্দ সাত লাখ থেকে ১৭ লাখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রাজেশ তোপ।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, টিকা স্বল্পতার কথা বলে মহারাষ্ট্র নিজের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে কয়েকটি রাজ্যের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। এর মাধ্যমে রাজ্যগুলো নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা করছে। যে তিন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান রয়েছে। ওই দুই রাজ্য বিজেপিশাসিত নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর