করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যরা।
দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে এই টিকা নেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন।
তার আগে ২৮ জানুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক, ৭ ফেব্রুয়ারি নিয়েছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া একই দিনে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বেলা ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি টিকা গ্রহণ করেন। এ সময় তার স্ত্রীও টিকা নেন।
দ্বিতীয় ডোজের শুরুর দিনে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আপিল বিভাগের পাঁচ জন বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ৫০ বিচারপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেন।
টিকা নিয়ে সাংবাদিকদে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, টিকাগ্রহীতারদের ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দেবে সরকার। টিকা পেতে নিবন্ধন আরও সহজ করা হয়েছে।
টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ আনে সরকার। প্রথমদিকে অ্যাপে কিছু সমস্যা হলেও এখন সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সাইফুল ইসলাম
টিকা নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচার বন্ধে তিনি নিজ আগ্রহেই টিকা নিয়েছেন। টিকা নিয়ে অপপ্রচারে জনগণকে কান না দেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
টিকা নেয়ার পর নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত আছে, সেই সঙ্গে সবাইকে সচেতন হতে হবে। শক্তি প্রয়োগ করে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে না, নিজ থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সারা দেশে বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে জাতীয়ভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: ফেসবুক থেকে নেয়া
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছর নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। এ পর্যন্ত মোট ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৪ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ৪২ লাখ টিকা মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।