হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান বা প্রজ্ঞা। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
১৯৫০ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিতে ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’।
প্রজ্ঞা মনে করে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত প্রবিধানমালা শিগগিরই চূড়ান্ত করা উচিত। তা না হলে দেশে এ রোগে মৃত্যু ঝুঁকি আরও বাড়বে।
ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড বা ট্রান্সফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য একটি ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ উচ্চ হারে হৃদ্রোগ, হৃদ্রোগজনিত মৃত্যু, স্মৃতিভ্রষ্টতা এবং স্বল্প স্মৃতিহানি জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদ্রোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
হৃদ্রোগ ও তা থেকে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ থেকে শিল্প উৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি খসড়া বিধিমালা জনসাধারণের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই খসড়া বিধিমালার ওপর মতামতের সুযোগ রয়েছে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর জীবন সকলের অধিকার। ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। জনগনণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত করার দাবি জানাই।’