করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী মার্কেটকে দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আগামী পয়লা বৈশাখের পর চালু হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সব কাজ শেষ হয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, হাসপাতালটি সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত করা হবে। শুধুমাত্র করোনা রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। ১ হাজার সাধারণ বেড রাখা হয়েছে। একটি ১০০টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) বেড এবং ১১২টি হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যা দেশে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হবে।
তিনি বলেন, ‘১৪ এপ্রিলের পর ২৫০ বেড এবং ৫ থেকে ১০ টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট চালু করা হবে। এরপর আস্তে আস্তে পূর্ণাঙ্গটি চালু করা হবে। তবে এখানে কোনো অপারেশন করা হবে না। কারও অপারেশন দরকার হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করানো ইউনিট করা হবে।’
এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের গড়ে ওঠা মার্কেটটি দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। গত বছর ৮ মার্চ মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত শুরু হয়।
গত বছরের ৯ আগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেল চারটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এরপর বিষয়টি তিনি সংবাদিকদের জানান।
এই হাসপাতলটিতে ২০০ শয্যার একটি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) চালু হচ্ছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা যাবে। এছাড়া এক হাজার বেডের আইসোলেশন সেন্টার করা হবে। গোটা হাসপাতালটি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিইউর কাজ প্রায় সমাপ্ত। বেডগুলো বসানো হয়ে গেছে। সেখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে আমরা একটা বিরাট সাপোর্ট দিতে পারব।’