চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের। নগরের লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত লাইব্রেরির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাকে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টারটির উদ্বোধন করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেল হক, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর রোগীর চাপ সামলাতে এই আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে ৫০ শয্যা দিয়ে শুরু করলেও পরিস্থিতি বুঝে সেটি আরও সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দু-তিন দিনের মধ্যে রোগী রাখা শুরু হবে।’
তিনি জানান, সেন্টারটিতে সর্বক্ষণ ১০ জন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রাথমিকভাবে রোগীদের চিকিৎসাসেবা, খাবার ও অন্যান্য সেবার ব্যয় করপোরেশনই বহন করবে।
রোগীর সেবার জন্য নগর কর্তৃপক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় জনবল দেয়া হবে। আরও জনবল প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থাও করা হবে।
আপাতত ১১ জন চিকিৎসক, ১২ জন প্যারামেডিকস, তিন জন ফার্মাসিস্ট, আট জন ওয়ার্ডবয়, দুই জন স্টোর কিপার, তিন জন ওয়ার্ড মাস্টার শিফট অনুযায়ী সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করবেন।
রোগীদের প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার নমুনাও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সংগ্রহ করে পৌঁছে দেবে। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে সরকারি হাসপাতালে নেয়ারও ব্যবস্থা থাকবে।
আক্রান্ত বাড়ছে
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৪। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৩০১ জন।
চট্টগ্রামের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনটি ছাড়া আর কোথাও আইসিইউ সিট খালি নেই।
এর মধ্যে পার্কভিউ হাসপাতালে সাধারণত বেডে রোগী ধারণক্ষমতা ৫৬ জন হলেও ভর্তি আছেন আরও ১০ জন বেশি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ১৮০টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ১৩০ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ৩২টি শয্যার বিপরীতে রোগী আছেন ২৪ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৪০টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ৮৫ জন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১১৮টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ৯২ জন, আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতালে ৪৩টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি ৩৯ জন এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি ৩২ জন।