বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যু ৫৩

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:১২

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ২৪ ঘণ্টায় এত শনাক্ত দেখেনি দেশ।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ৮৭ জনের দেহে। এ সময়ে ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ২৪ ঘণ্টায় এত শনাক্ত দেখেনি দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনের দেহে। এর মধ্যে মারা গেছে নয় হাজার ২৬৬ জন।

এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি ল্যাবে ৩০ হাজার ৭২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.০৭ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩.৩২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৭০৭ জন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৪৮২ জন। সুস্থতার হার ৮৬.৬৮ শতাংশ।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫৩ জনের মধ্যে ৪৫ পুরুষ ও আট নারী রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

বয়স বিবেচনায় মৃত ৫৩ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব এক, ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১, ষাটোর্ধ্ব ৩৪ জন।

বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ৩৭, চট্টগ্রামে ৯, রাজশাহীতে এক, রংপুরে ৩, ময়মনসিংহে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।

যেভাবে বেড়েছে শনাক্তের হার

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত বছরের মার্চজুড়ে শনাক্তের হার ছিল ৩.১৮ শতাংশে। এপ্রিলে এই হার ১২.০৮ শতাংশ এসে দাঁড়ায়। মে মাসে শনাক্তের হার ১৬.১৭ শতাংশ ছিল। জুনের দিকে শনাক্তের হার একটু বেড়ে ২১.৪৯ শতাংশে দাঁড়ায়। জুলাইয়ে সেটা আরও বেড়ে ২২.৪৬ শতাংশে দাঁড়ায়।

এরপর আবার কমতে থাকে করোনা শনাক্তের হার। আগস্টজুড়ে শতাংশের হার ছিল ২০.১৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার নেমে হয় ১২.৭০ শতাংশ।

নভেম্বরে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এ মাসে শনাক্তের হার ছিল ১৩.১২ শতাংশ। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির শেষ দিক থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল দেশে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। আর মার্চ শনাক্তের হার হয় ১০.১৯ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর