ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ হাজার ১২৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ সংখ্যাটি গত সাড়ে ছয় মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভারতে ৯২ হাজার ৬০৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এরপর শুক্রবার ও শনিবার দেশটিতে শনাক্তের নতুন রেকর্ড জানানো হয়।
শনিবার সকালে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর ৭১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭১৪ জনের মধ্যে ৪৮১ জনই মহারাষ্ট্রের।
পর্যালোচনা বৈঠক শেষে শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, কেরালা, ছত্তিশগড়, চণ্ডিগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও হরিয়ানার পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের ৯০ শতাংশই ওই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি কাহিল অবস্থা মহারাষ্ট্রের। শুক্রবার ওই রাজ্যে ৪৭ হাজার ৮২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। গত বছরের মার্চে করোনা দেশটিতে আঘাত হানার পর সেটিই ছিল এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। ওই দিন মৃত্যু হয় ২০২ জনের।
রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৬৪৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়, যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার বলেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে লকডাউন ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের পুনে শহর কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে এক সপ্তাহের ১২ ঘণ্টার নৈশ কারফিউ ঘোষণা করেছে, যা শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। শহরটিতে শুক্রবার রেকর্ড ৯ হাজার ৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ১২৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৪১ জনের।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার ৪৮৫। আর এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৫২৩ জনের।