ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাভাবিক ওজনের প্রায় দ্বিগুণ এক শিশু জন্মানোর পর পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। যেখানে শিশুটির জন্ম হয়েছে, সেই চিকিৎসালয়ের ডাক্তার ও কর্মচারীরাও শিশুটির আকার দেখে চমৎকৃত হয়েছেন।
শিশুটির ওজন হয়েছে পৌনে ছয় কেজি। যা গড় ওজনের চেয়ে ২.৩ কেজি বেশি। শিশুটির উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের হলিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, এত বেশি ওজনের বাচ্চা কখনও সেখানে এর আগে জন্ম নেয়নি।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সেখানে ভর্তি করানো হয়।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার প্রথমে স্বাভাবিকভাবে প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে অস্ত্রোপচার করেন তিনি।
জন্মানোর পর নবজাতকটির ওজন নিয়ে দেখা যায় ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম।
তাসলিমার এর আগের তিন সন্তানের জন্ম অস্ত্রোপচার ছাড়াই হয়। তবে চতুর্থ সন্তানের ওজন বেশি হওয়ায় অস্ত্রোপচার দরকার হয়।
শিশুদের নিয়ে বিশেষায়িত ওয়েবসাইট মাই ফেয়াইরি ল্যান্ড বিডি ডটকমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মের সময় শিশুর গড় ওজন ৭.৫ পাউন্ড বা ৩.৪ কেজি।
তবে ২.৫ থেকে ৪.৫ কেজি ওজনকে স্বাভাবিক পরিসীমা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।
আরেক বিশেষায়িত ওয়েবসাইট বেবিসেন্টার ডটকম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে নবজাতকের গড় ওজন ৩.৩ কেজি।
শিশুটির উচ্চতা ৫৫ সেন্টিমিটারও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বেশি। বেবিসেন্টার ডটকম জানাচ্ছে, মেয়ে নবজাতকের গড় উচ্চতা ৪৯ সেন্টিমিটার আর ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে সেটি ৫০ সেন্টিমিটার।
অর্থাৎ এই শিশুটি সর্বোচ্চ উচ্চতার শিশুর চেয়ে ৫ সেন্টিমিটার বা দুই ইঞ্চি বড়।
চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার জানান, অন্তঃসত্ত্বার খাবার ও পরিচর্যা ঠিক থাকলে সাধারণত ছেলে নবজাতকের ওজন হয় আড়াই থেকে সাড়ে তিন কেজি। অন্তঃসত্ত্বা বা তার স্বামী সুঠাম দেহের হলে কিংবা শিশুর বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে নবজাতকের ওজন এর চেয়ে বেশি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এই শিশুর বেলায় ঘটনাটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তার মা-বাবার ওজন স্বাভাবিক। ডায়াবেটিসও নেই। গর্ভাবস্থায় ওই নারী সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’