১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অত্যন্ত মৃদু।
তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, টিকাটি প্রয়োগে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের দেহে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের টিকা প্রয়োগে অ্যান্টিবডি তৈরির মাত্রা ছিল তুলনামূলক কম।
সবশেষ পরীক্ষাটি করা হয়েছে এক হাজার ১৩১ জন শিশু-কিশোরের ওপর। টিকা প্রয়োগের পর তাদের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
অন্যদিকে এর আগের ধাপে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী এক হাজার ১২৯ জনের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জন পরবর্তীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ কোলিন কেলি বলেছেন, পরীক্ষার সম্পূর্ণ ফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত ফল আশাব্যাঞ্জক।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মডার্নার কোভিড টিকার পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার মতে, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলেই মহামারি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কারণ ১২ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও অন্যদের মধ্যে তা ছড়ানোর হার- দুটিই বেশ বিরল।
১২ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে টিকাটির জরুরি অনুমোদন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করেছে ফাইজার।
গত সপ্তাহে ছয় মাস থেকে ১১ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে একই বয়সীদের মধ্যে টিকার পরীক্ষা শুরু করে মডার্নাও।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি থেকে পৃথকভাবে ছয় বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে টিকার পরীক্ষামূলক পরীক্ষা শুরু করে জার্মান বায়োটেক অ্যাস্ট্রাজেনেকা।