ভারতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭২ হাজার ৩৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের ১১ অক্টোবরের পর এটিই ছিল সর্বোচ্চ।
ওই দিন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই ভারতের অবস্থান।
পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৬০ জনের।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া শুরু হয়।
ভারতে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ৪০ লাখের মতো মানুষ করোনার টিকা নিয়েছে। তবে প্রায় একই পরিমাণ টিকা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করায় নিজ দেশে সমালোচনার মুখে রয়েছে দেশটি। কারণ, অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতে মাথাপিছু টিকাদান অনেক কম।
শুরুতে সম্মুখসারির কর্মী, বৃদ্ধ ও নানা শারীরিক জটিলতায় ভোগা লোকজনদের টিকার আওতায় রাখে ভারত, যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককেই টিকা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবশ্য প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে ভারত। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন টুইটবার্তায় বলেন, ‘দেশে টিকার কোনো ঘাটতি নেই। কেন্দ্র থেকে রাজ্যে টিকা সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। অতিরিক্ত মজুত বা কম মজুত থেকে বিরত থাকুন।’
এর আগে ২৪ মার্চ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে করোনা প্রতিরোধী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তাদের কাছ থেকে টিকা কিনেছে বাংলাদেশও।