যশোরে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধের বাইরে জেলা প্রশাসন থেকে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধসহ নতুন করে সাতটি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার জেলা প্রশাসক তজিমুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: ঘরে বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে; ১ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিছিল, সমাবেশ, ওয়াজসহ যেকোনো ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
এ ছাড়া ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ, হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি পালন, হোটেল-রেস্তেরাঁয় ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যশোরে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার জেলায় ২৩ জনসহ এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হলো।
২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরুর পর এ পর্যন্ত যশোর জেলায় ৭৭৫ জনকে এই পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
গত দুই মাসে করোনা রোগী অনেকটা কমেছিল। মার্চ মাসে আবারও করোনা শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে যশোরে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রেশন ও ফুড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে যশোরে ৮৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পজিটিভ এসেছে ১১০টি নমুনা।